ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চকরিয়া সাবেক এমপি রাজধানীতে গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে র‍্যাবের অভিযানে হত্যা-ধর্ষণসহ ৪ আসামি গ্রেপ্তার বোয়ালখালী’র স্থানীয় বিএনপির সকলে আজকে একই মঞ্চে, ঐক্যবদ্ধ বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে – মীর হেলাল পেকুয়া কৃষকলীগের সভাপতি মেহের আলী র‍্যাবের হাতে আটক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ওমর সানী চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হানকে আটকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বোয়ালখালীতে সেনাবাহিনীর হাতে চার সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসহ আটক অবশেষে অপহরণের ৯ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্তি পেয়েছে শিক্ষক বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’বির্তকের পর হয়ে গেলেন সমবায় ফেডারেশনের উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পুলিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাটারি রিকশাচালকদের সংঘর্ষ, আহত ১০
দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

চমেক হাসপাতাল থেকে পালানো হাতকড়াসহ সন্ত্রাসী রফিক গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮৯ বার পড়া হয়েছে

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: চমেক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া মহেশখালীর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাটা রফিককে হাতকড়াসহ ২৪ ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে পেকুয়া এলাকার সৎ বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানা পুলিশের সহায়তায় সন্ত্রাসী রফিককে গ্রেফতার করে। হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সে মহেশখালীর বাড়িতে না গিয়ে পেকুয়া সদরের বাইন্যাখালি ২ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী ফকির বাড়ির সৎ বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। রাতেই তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি দল গত ১৬ মার্চ ডাকাতির জন্য সংঘবদ্ধ হওয়া একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ধরতে অভিযান চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি চালায়। কোস্টগার্ডের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় মহেশখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ির মফিজুর রহমান ওরফে মজু বলির পুত্র রফিকুল ইসলাম ওরফে কাটা রফিক। কোস্টগার্ড অস্ত্রশস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলিসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ হেফাজতে কঙবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। হাসপাতালে সিএমপির দুই পুলিশ সদস্য তাকে পাহারা দিচ্ছিল। কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় খুন, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশের মাঝে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

চমেক হাসপাতাল থেকে পালানো হাতকড়াসহ সন্ত্রাসী রফিক গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৭:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স: চমেক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া মহেশখালীর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাটা রফিককে হাতকড়াসহ ২৪ ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে পেকুয়া এলাকার সৎ বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানা পুলিশের সহায়তায় সন্ত্রাসী রফিককে গ্রেফতার করে। হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সে মহেশখালীর বাড়িতে না গিয়ে পেকুয়া সদরের বাইন্যাখালি ২ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী ফকির বাড়ির সৎ বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। রাতেই তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি দল গত ১৬ মার্চ ডাকাতির জন্য সংঘবদ্ধ হওয়া একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ধরতে অভিযান চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি চালায়। কোস্টগার্ডের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় মহেশখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ির মফিজুর রহমান ওরফে মজু বলির পুত্র রফিকুল ইসলাম ওরফে কাটা রফিক। কোস্টগার্ড অস্ত্রশস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলিসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ হেফাজতে কঙবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। হাসপাতালে সিএমপির দুই পুলিশ সদস্য তাকে পাহারা দিচ্ছিল। কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় খুন, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশের মাঝে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।