ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চকরিয়া সাবেক এমপি রাজধানীতে গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে র‍্যাবের অভিযানে হত্যা-ধর্ষণসহ ৪ আসামি গ্রেপ্তার বোয়ালখালী’র স্থানীয় বিএনপির সকলে আজকে একই মঞ্চে, ঐক্যবদ্ধ বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে – মীর হেলাল পেকুয়া কৃষকলীগের সভাপতি মেহের আলী র‍্যাবের হাতে আটক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ওমর সানী চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হানকে আটকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বোয়ালখালীতে সেনাবাহিনীর হাতে চার সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসহ আটক অবশেষে অপহরণের ৯ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্তি পেয়েছে শিক্ষক বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’বির্তকের পর হয়ে গেলেন সমবায় ফেডারেশনের উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পুলিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাটারি রিকশাচালকদের সংঘর্ষ, আহত ১০
বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা বিনা ভোটে জিতে গেলেন

১৩২ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির ব্যালেটবিহীন নির্বাচন

বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৩ বার পড়া হয়েছে

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স : চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কমিটির পদ ২১টি। মনোনয়ন নিতে পেরেছেন বিএনপি-জামায়াত সিন্ডিকেটের ২১ জন আইনজীবী। সিন্ডিকেটির বাঁধায় মনোনয়ন নিতে পারে নাই আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। নেই কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। নেই কোন মনোনয়ন বাতিল। যারাই ফরম নিয়েছেন তারাই ‘বৈধ’ ঘোষিত হয়েছেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকালে নিয়মানুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা শেষে সেই ২১ আইনজীবী গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন নির্বাচন করার। অর্থাৎ আর যেহেতু কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র নিতে দেয়া হয়নি। তাই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদেরকেই বৈধ ঘোষণা করেছে কমিশন। এর মধ্য দিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি-জামায়াতপন্থী ওই ২১ জন আইনজীবী বিজয়ী হয়ে গেছেন।

আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিজয়ের জন্য নো টেনশন প্রার্থীদের। এখন অপেক্ষা শুধু অফিশিয়াল বিজয়ী ঘোষণার।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা তারিক আহমদ বলেন, কার্যকরী পরিষদের ২১টি পদের বিপরীতে যাচাই-বাছাই শেষে ২১ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল তাঁদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, সহসভাপতি পদে আলমগীর মোহাম্মদ ইউনূস, সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো. ফজলুল বারী, অর্থ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক পদে তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আশরাফি বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ম. মঞ্জুর হোসেন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে আবদুল জব্বার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা সকলেই আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের।

এছাড়া ১১টি সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আহসান উল্ল্যাহ মানিক, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, হেল উদ্দিন, মেজবাহ উল আলম আমিন, মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, মো. রুবাইয়াতুল করিম, মো. শাহেদ হোসেন, মোহাম্মদ মোরশেদ, রাহিলা গুলশান এবং সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।

সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন, আইনজীবীদের কল্যাণ ও বারের দুর্নীতি রোধে কাজ করে যাব। রাজনীতি বারে আনব না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী ও সভাপতি পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ বলেন, আইনজীবী সমিতির ৯৮ শতাংশ সদস্যই ভোট দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ওপর আস্থা না থাকা কয়েকজন সমিতির সোনালি ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে তারা এমনটি করেছে। আওয়ামী লীগপন্থি ও এলডিপিপন্থি আইনজীবীকে তারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে দেয়নি। আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কোনো সুরাহা মেলেনি।

উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সমিতির নির্বাচনের কথা ছিল। তবে নানামুখী প্রতিকূলতা, হেনস্তার শিকার,ভয়ভীতি, হুমকি মুখে পড়ে ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের ৫ সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সমিতির সাধারণ সভায় ৫ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেয় এডহক কমিটি। সেই হিসেবে গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন গঠন করে কমিটি। গত ৮ এপ্রিল তপশীল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

তফশিল অনুযায়ী, আজ শুক্রবার ১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা, যাচাইবাছাই বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের তারিখ ছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের তারিখ থাকলেও তেমন কারো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেই প্রার্থীদের- এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপি-জামাায়াতপন্থী আইনজীবীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা বিনা ভোটে জিতে গেলেন

১৩২ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির ব্যালেটবিহীন নির্বাচন

আপডেট সময় : ০১:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

চাটগাঁইয়া ওয়েবডেক্স : চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কমিটির পদ ২১টি। মনোনয়ন নিতে পেরেছেন বিএনপি-জামায়াত সিন্ডিকেটের ২১ জন আইনজীবী। সিন্ডিকেটির বাঁধায় মনোনয়ন নিতে পারে নাই আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। নেই কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। নেই কোন মনোনয়ন বাতিল। যারাই ফরম নিয়েছেন তারাই ‘বৈধ’ ঘোষিত হয়েছেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকালে নিয়মানুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা শেষে সেই ২১ আইনজীবী গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন নির্বাচন করার। অর্থাৎ আর যেহেতু কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র নিতে দেয়া হয়নি। তাই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদেরকেই বৈধ ঘোষণা করেছে কমিশন। এর মধ্য দিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি-জামায়াতপন্থী ওই ২১ জন আইনজীবী বিজয়ী হয়ে গেছেন।

আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিজয়ের জন্য নো টেনশন প্রার্থীদের। এখন অপেক্ষা শুধু অফিশিয়াল বিজয়ী ঘোষণার।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা তারিক আহমদ বলেন, কার্যকরী পরিষদের ২১টি পদের বিপরীতে যাচাই-বাছাই শেষে ২১ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামীকাল তাঁদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, সহসভাপতি পদে আলমগীর মোহাম্মদ ইউনূস, সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো. ফজলুল বারী, অর্থ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক পদে তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আশরাফি বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ম. মঞ্জুর হোসেন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে আবদুল জব্বার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা সকলেই আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের।

এছাড়া ১১টি সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আহসান উল্ল্যাহ মানিক, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, হেল উদ্দিন, মেজবাহ উল আলম আমিন, মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, মো. রুবাইয়াতুল করিম, মো. শাহেদ হোসেন, মোহাম্মদ মোরশেদ, রাহিলা গুলশান এবং সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।

সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন, আইনজীবীদের কল্যাণ ও বারের দুর্নীতি রোধে কাজ করে যাব। রাজনীতি বারে আনব না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী ও সভাপতি পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ বলেন, আইনজীবী সমিতির ৯৮ শতাংশ সদস্যই ভোট দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ওপর আস্থা না থাকা কয়েকজন সমিতির সোনালি ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে তারা এমনটি করেছে। আওয়ামী লীগপন্থি ও এলডিপিপন্থি আইনজীবীকে তারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে দেয়নি। আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কোনো সুরাহা মেলেনি।

উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সমিতির নির্বাচনের কথা ছিল। তবে নানামুখী প্রতিকূলতা, হেনস্তার শিকার,ভয়ভীতি, হুমকি মুখে পড়ে ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের ৫ সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সমিতির সাধারণ সভায় ৫ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেয় এডহক কমিটি। সেই হিসেবে গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন গঠন করে কমিটি। গত ৮ এপ্রিল তপশীল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

তফশিল অনুযায়ী, আজ শুক্রবার ১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা, যাচাইবাছাই বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের তারিখ ছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের তারিখ থাকলেও তেমন কারো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেই প্রার্থীদের- এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপি-জামাায়াতপন্থী আইনজীবীরা।